বার্তা পরিবেশক: রামুতে পরিত্যক্ত অবস্থায় পার্কিং করে রাখা ব্যক্তি মালিকানাধীন স্কেভেটর জনৈক দিদার বলির বালু মহালের নামে জব্দ দেখিয়ে নিলামে বিক্রির গুরুত্বর অভিযোগ উঠেছে। যথাযথ তথ্য প্রমান যাচাই বাছাই না করে স্থানীয় মসজিদের কবরস্থান সংস্কার কাজে ব্যবহৃত স্কেভেটর বিধি বহির্ভূতভাবে নিলামের নামে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন স্কেভেটরের মালিক ভুক্তভোগী মো: আলমগীর।
জানা যায়, গত ১৩ জুন শুক্রবার রামু সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাজ্জাদ জাহিদ রাতুল এর নেতৃত্বে দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের উমখালী নামক এলাকায় জনৈক দিদার বলীর বালু মহালে অভিযানে গেলে বালু মহালের মালিক দিদার বলী ও তার সহযোগিরা পালিয়ে যায়। এসময় অবৈধ বালু মহালে কর্মরত দুই শ্রমিককে আটক করেন। এর মধ্যে এক জনকে ৭ (সাত) দিন ও অপর জনকে ১৫ (পনের) দিন কারাদন্ড দেয়া হয়।
অভিযানকালে উক্ত বালু মহালে ব্যবহৃত ড্রেজার ও স্তূপীকৃত বালু জব্দ করা হয়। এসময় বালু মহালের পাশে নষ্ট হয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় পার্কিং করে রাখা আলমগীর নামের এক ব্যক্তির মালিকানাধীন স্কেভেটরটিও জব্দ দেখানো হয়।
অভিযোগ রয়েছে, কোন রকম যাচাই-বাছাই না করেই পরবর্তীতে ড্রেজার ও স্তূপীকৃত বালুর সাথে উক্ত স্কেভেটরসহ নিলামে বিক্রি করে দেন এসিল্যান্ড সাজ্জাদ জাহিদ রাতুল।
উপজেলা ভুমি অফিস সুত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৫ লাখ টাকা মূল্যের এই স্কেভেটরটি স্পট নিলামে মাত্র ১ লাখ ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী স্কেভেটর এর মালিক মো: আলমগীর জানান, বিগত কুরবানির ঈদের আগে মুজিবের দ্বীপ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ এর কবরস্থানের সংস্কার কাজ করার জন্য তার স্কেভেটরটি ভাড়া নেয়া হয়। সংস্কারকাজ চলাকালে সম্প্রতি অতি বৃষ্টিতে বাঁকখালী নদীর পানি বেড়ে গাড়িটি ডুবে যায়। ফলে স্কেভেটরটির যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে মেরামতের জন্য গ্যারেজে নিয়ে যাওয়ার সময় উক্ত দিদার বলীর বালু মহালের কাছাকাছি স্থান পর্যন্ত গেলে গাড়িটির অধিক যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে গ্যারেজে নিয়ে যাওয়া আর সম্ভব না হওয়ায় উক্ত স্থানে পার্কিং করে রাখা হয়।
আলমগীর আরও জানান, কোন প্রকার যাচাই না করে দিদার বলীর মালিকানাধীন বালু মহালের মালামাল জব্দ করার পাশাপাশি তার মালিকানাধীন স্কেভেটরটিও জব্দ করে নিলামে বিক্রি করা হয়। অথচ গাড়ির মালিক হিসেবে স্কেভেটরটি জব্দ করার কোন রশিদ বা কাগজপত্রও তাকে দেয়া হয়নি। স্কেভেটর এর মালিক ভুক্তভোগী মো: আলমগীর আরও জানান, আমার গাড়িটি জব্দ করে বিক্রি করে দেয়া হলেও রামু উপজেলা ইউএনও ও এসিল্যান্ড অফিসের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরলেও আমাকে কোন প্রকার কাগজপত্র দেননি এসিল্যান্ড বা ইউএনও।
তিনি বলেন, আমার শেষ সম্বল এই গাড়িটি বিক্রি করে দেয়ায় আমি নি:স্ব হয়ে গেছি। পরিবার পরিজন নিয়ে আমাকে না খেয়ে দিনাতিপাত করতে হবে।
স্কেভেটরটি বিক্রি করে দেয়ার বিষয়ে জানতে রামু সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাজ্জাদ জাহিদ রাতুল এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
0 Comments