রামুতে আ:লীগের নেতা-কর্মীর হামলায় বিএনপি নেতার ভাই গুরুতর আহত

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:  কক্সবাজারের রামুতে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীর হামলায় বিএনপি নেতার ভাই গুরুতর আহত হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১১ টার দিকে কক্সবাজারের রামু উপজেলা দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড পাহাড়তলীতে সন্ত্রাসী কায়দায় শাহাবুদ্দীন নামে এক ব্যক্তির উপর এই হামলা চালান একই এলাকার কয়েকজন আওয়ামী সন্ত্রাসীরা।এই হামলায় তিনি গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাত ১১ টার দিকে র‍্যাব-১৫ অফিসের একশো গজ ভেতর পাহাড়তলী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। মূলত ঘটনাটি হয়েছিল আওয়ামীলীগ সরকার এবং বিএনপি সরকারের কিছু বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শাহবুদ্দিনের উপর অতর্কিত হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এই সময় তাকে ৬-৭ জনের একটি সঙ্ঘবদ্ধ দল আওয়ামী লীগের দোসররা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে শাহাবউদ্দিনের উপর  দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।

স্থানীয়রা জানান, হামলাকারীরা আ: লীগের আমলেও এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত ছিলেন এবং পুরা এলাকা জুড়ে তাদের একটি নিজস্ব গ্যাং রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে গেল ২০১৭ সালেও কাইম্যারগোনা এলাকায় জিয়াবুলকে চুরি করার অপরাধে এলাকাবাসীরা তাকে ধরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছিলেন। মূলত এরা এলাকায় বিভিন্ন অপরাধের কর্মকাণ্ড লিপ্ত ছিল। এবং তারা আ:লীগ সরকারের আমলেও এলাকায় প্রভাব খাটাতেন।সেই সাথে আওয়ামী লীগের প্রভাবে বিভিন্ন অপরাদের সাথে লিপ্ত ছিলেন।চুরি ছিনতাই এবং ডাকাতি সহ একাধিক অপরাধে সম্পৃক্ত রয়েছেন। বতর্মানে এলাকায় তারা আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। 

সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ওইদিন এই হামলায় শাহাবুদ্দিন গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলে মাটিতে লুটে পড়ে যায়। ওই সময় রামু থানার পুলিশ ও স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করে। আহত শাহাবুদ্দিনের বাড়ি দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ডে। তিনি উক্ত এলাকার রশীদ আহাম্মদ ছেলে।

হামলাকারীরা হলেন:১/ আরিফ(২৬)পিতা:-ছিদ্দিক আহাম্মদ, ঠিকানা: পাহাড় তলী, ২/ মো: তারেক,আয়েত উল্লাহ,জিয়াবুল হক,জাহেদ হাছান,উভয় পিতাঃ ছৈয়দ আলম,৩/ ছৈয়দ আলম সহ আরো অজ্ঞাতঃ১০/১৫ জন।

এই বিষয় নিয়ে আহত ব্যক্তি শাহাবুদ্দিন জানান,ঐদিন রাতে ছৈয়দ আলমের নেতৃত্বে কয়েকজন সন্ত্রাসীরা আমার উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায় ।এসময় আমার পায়ে আঘাত হয়।ওই সময় কয়েকজন ব্যক্তিরা আমাকে বেশি মারধর করেন।তখন আমি মাঠিতে পড়ে যায়। স্থানীয়রা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ য়ে কল দিলে রামু থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আমাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে আমি গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছি। মূলত ঐদিন রাতে রাজনৈতিক কথা কাটাকাটি হয়েছিল।এই কথা কাটাকাটি নিয়ে আওয়ামী লীগের দোসররা আমার উপরে হামলা করে।এই হামলায় আমি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করি যেন অপরাধীদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করে। 

এই বিষয় নিয়ে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈয়বুর রহমান জানান,দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের পাহাড়তলী এলাকায় যে ঘটনাটি হয়েছিল। ঐদিন রাতে রামু থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন।তবে শুনেছি ওখানে এক ব্যক্তি আহত হয়েছে। তবে আহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। যদিও থানায় কেউ এসে অভিযোগ জমা দেয় তাহলে বিষয়টি তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।


Post a Comment

0 Comments