মেরিনড্রাইভ সংলগ্ন পেঁচারদ্বীপে প্রতারনার মাধ্যমে এক ভাইয়ের জমি বিক্রি করলো অপর ভাই ..!

বিশেষ প্রতিবেদক: 

🔴প্রতারনার মাধ্যমে সৃজিত খতিয়ান বাতিল পূর্বক জমি ফিরে পেতে ভুক্তভোগীর নামজারী আপীল মামলা

🔴প্রতিবেদনে প্রকৃত তথ্য গোপন করে বিভ্রান্তমুলক তথ্য দেয়ার অভিযোগ কানুনগো-এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে 

কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পেঁচারদ্বীপ এলাকায় প্রতারনার মাধ্যমে এক ভাইয়ের জমি বিক্রি করে দিয়েছেন খোদ তারই আপন ভাই। প্রতারনার মাধ্যমে বিক্রিত এসব জমির সৃজিত খতিয়ান বাতিল করতে এবং নিজের রেকর্ডিয় জমি ফিরে পেতে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) এর আদালতে নামজারী আপীল মামলা নং-৬৩/২০২৪ (রামু) দায়ের করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ রেকর্ডিয় মালিক নুরুল আলম। তিনি রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের মৃত উলা মিয়ার পুত্র।

অভিযোগ উঠেছে, বিচার প্রক্রিয়াকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে নামজারী আপীল মামলা নং-৬৩/২০২৪ (রামু) এর তদন্ত প্রতিবেদনে আসল তথ্য গোপন করে ভুল ও বিভ্রান্তমুলক তথ্য সরবরাহ করেছেন খোদ এসিল্যান্ড ও কানুনগো। 

তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্তৃক দাখিলকৃত প্রতিবেদনে প্রতিপক্ষ নুরুল ইসলাম প্রাপ্যতার চেয়ে অতিরিক্ত জমি বিক্রি করেছেন এবং সর্বশেষ দলিল মূলে বিবাদীনি নাফিসা সানজিদার নামীয় পেচারদ্বীপ মৌজায় সৃজিত ৬৪৪ নং খতিয়ান হতে (আপত্তিকারীর প্রকৃত হিস্যা মতে প্রাপ্ত) ০.১১৫০ একর জমি মূল বি.এস ৭৮ নং খতিয়ানে ফেরৎ/পূণঃবহাল করার সুপারিশ করলেও রামু উপজেলা ভুমি অফিসের কানুনগো (ভারপ্রাপ্ত) মো: মাহাবুবুর রহমান ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো: সাজ্জাদ জাহিদ রাতুল দালিলিক রেকর্ড পত্র যাচাই-বাছাই না করেই কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট(এডিএম) এর কাছে বিভ্রান্তিমুলক প্রতিবেদন দাখিল করেছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।   

জানা যায়, বিগত ২০/০৮/২০২৪ ইং তারিখে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) এর আদালতে নামজারী আপীল মামলা নং-৬৩/২০২৪ (রামু) দায়ের করার পর রামু উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো: সাজ্জাদ জাহিদ রাতুলকে উক্ত জমির বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। এর প্রেক্ষিতে রামুর এসিল্যান্ড ধেচুয়াপালং ইউনিয়ন ভুমি সহকারী(তহসিলদার) কর্মকর্তা সলিম উল্লাহকে সরেজমিন তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিলে তহসিলদার সলিম উল্লাহ দীর্ঘ প্রায় আট মাস সরেজমিন তদন্ত করে গত ১৩/০৪/২০২৫ ইং তারিখে রামু উপজেলা ভুমি অফিসের এসিল্যান্ড বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করেন। 

সরেজমিন পর্যালোচনা করে জানা যায়, ভুক্তভোগী নুরুল আলম কর্তৃক দায়েরকৃত নামজারী আপীল মামলা নং-৬৩/২০২৪ (রামু) এর আলোকে যাবতীয় রেকর্ডপত্র যাচাই, পক্ষ-বিপক্ষের খতিয়ান ও দলীলপত্র যাচাই-বাছাই করে মতামতসহ প্রতিবেদন দাখিল করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা তহসিলদার সলিম উল্লাহ। দাখিলকৃত প্রতিবেদন অনুযায়ী অধিগ্রহনকৃত জমি বাদ দিয়ে পেঁচারদ্বীপ মৌজার রেকর্ডিয় মালিক নুরুল আলম ও নুরুল ইসলাম প্রত্যেকে বিএস ৭৮ নং খতিয়ানের অধিনে বি.এস ৫২৭ নং দাগের ০.১৪ একর এবং বি.এস ৬১২ নং দাগের ০.০৭৫০ একর মোট ০.২১৫০ একর করে জমি প্রাপ্য। 

ভুক্তভোগী রেকর্ডিয় জমির মালিক নুরুল আলম এর অভিযোগ, হিস্যা অনুযায়ী নুরুল ইসলামের প্রাপ্ত অংশ তার প্রদত্ত আম মোক্তার নামা মূলে প্রাপ্ত হয়ে ০.১৪০০ একর জমি বিগত ২৯/১১/২০১২ খ্রিঃ তারিখে রেজিঃ যুক্ত ২৫৩৫ নং কবলা মূলে জনৈক হুমায়ুন করিমের কাছে বিক্রয় করেন। তৎমতে হুমায়ুন করিম ৬১০ নং নামজারী খতিয়ান সৃজন করেন। এর মাধ্যমেই বি.এস ৫২৭ নং দাগের ০.১৪ একর জমি বিক্রি করে নুরুল ইসলাম উক্ত দাগে তার মালিকানা স্বত্ত হারান। মেরিন ড্রাইভ লাগোয়া জমি হওয়ায় নুরুল ইসলাম লোভের বশবর্তী হয়ে তার নিয়োগকৃত আম মোক্তার সোলতান আহামদ ভুলু চৌধুরী প্রতারনার মাধ্যমে বিগত ০৮/০৪/২০১৪ খ্রিঃ তারিখের রেজিঃ যুক্ত ৬৮৪ নং কবলা মূলে বি.এস ৫২৭ নং দাগের অবশিষ্ট আমার (নুরুল আলম) প্রাপ্ত ০.১৪ একর জমিসহ মোট ০.২১৫০ একর জমি জনৈক নাফিসা সানজিদাকে বিক্রয় করেন। যা সম্পূর্ন বিধি বহির্ভূত ও বে-আইনী। 

তিনি আরও বলেন, নামজারী আপীল মামলায় সরেজমিন পরিদর্শন করে ধেচুয়াপালং ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা সলিম উল্লাহ বিস্তারিত সঠিক বিষয়টি তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করলেও রামু উপজেলা ভুমি অফিসের ভারপ্রাপ্ত কানুনগো মাহবুবুর রহমান ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো: সাজ্জাদ জাহিদ রাতুল প্রতিপক্ষের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে মাননীয় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালতে দাখিলকৃত প্রতিবেদনে প্রকৃত তথ্য গোপন করে বিভ্রান্তমুলক তথ্য সরবরাহ করেছেন। যা বিচারের সঠিক প্রবাহকে ব্যাহত করে। তিনি এসব অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত পুর্বক আইনগত ব্যবস্থা নিতে সং¤িøষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানান।

ভুক্তভোগী নুরুল আলম আরও বলেন, পেঁচারদ্বীপ মৌজার বিএস ৭৮ নং খতিয়ান হতে ০.১৪০০ একর জমি কর্তন করে নাফিসা সানজিদার নামে সৃজিত করা হয় বিএস ৬৪৪ নং খতিয়ান। যা সম্পুর্ন উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে নথিপত্র গোপন করে ভুল তথ্যের উপর ভিত্তি করে অনৈতিক লেনদের মাধ্যমে সং¯িøষ্ট কর্মকর্তাদের যোগসাজসে করা হয়েছিল। যার কারনে জমির প্রকৃত মালিক নুরুল আলম গং বিগত ২০/০৮/২০২৪ ইংরেজি তারিখে উক্ত ০.১৪০০ একর জমি পুনরায় বিএস ৭৮ নং খতিয়ানের বিএস বিএস ৫২৭ নং দাগে পুনর্বহাল করতে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) এর কাছে নামজারী আপীল মামলা রুজু করেন। যার আপিল মামলা নং-৬৩/২০২৪ ইং(রামু)। 

ভুক্তভোগী জমির মালিক ও দায়েরকৃত নামজারি আপিল মামলা নং-৬৩/২০২৪ ইং(রামু) এর নথি পর্যালোচনা করে জানা যায়, সরকারী রেকর্ড অনুযায়ী রামু উপজেলার পেঁচারদ্বীপ মৌজার বি,এস ৭৮ নং খতিয়ানের দাগাদির মোট ০.৭৭০০ একর জমির রেকর্ডীয় মালিক নুরুল আলম ও নুরুল ইসলাম দুই ভাই। হিস্যা মতে তারা উভয়েই সমান ভাগে ০.৩৮৫০ একর করে জমির অংশিদার। এর মধ্যে বি.এস ৫২৭ নং দাগে জমি রয়েছে ০.৩৬০০ একর। যার মধ্যে ০.০৮০০ একর জমি কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডে অধিগ্রহণ করা হয়। অবশিষ্ট ০.২৮০০ একর জমির হিস্যা মতে প্রত্যেকে ০.১৪০০ একর করে জমি প্রাপ্ত হয়। 

মুল কথা: নুরুল আলম ও নুরুল ইসলাম প্রত্যেকে বিএস ৭৮ নং খতিয়ানের অধিনে বি.এস ৫২৭ নং দাগের ০.১৪ একর এবং বি.এস ৬১২ নং দাগের ০.০৭৫০ একর করে প্রত্যেকে মোট ০.২১৫০ একর জমি প্রাপ্য। 

অপরদিকে অপর মালিক নুরুল ইসলাম হিস্যা মতে তার পাওনা জমি বিগত ২৯/১১/২০১২খ্রি: তারিখের রেজি: যুক্ত ২৫০৬ নং আম-মোক্তার নামার মাধ্যমে জনৈক সুলতান আহামদ ভুলু চৌধুরীকে অর্পণ করেন। পরবর্তীতে সুলতান আহামদ ভুলু চৌধুরী একই দিন উক্ত আম-মোক্তার নামা মুলে প্রাপ্ত জমি হতে ০.১৪০০ একর জমি বিগত ২৯/১১/২০১২ খ্রিঃ তারিখে রেজিঃ যুক্ত ২৫৩৫ নং কবলা মূলে জনৈক হুমায়ুন করিমের কাছে বিক্রয় করেন। তৎমতে হুমায়ুন করিম ৬১০ নং নামজারী খতিয়ান সৃজন করেন। এবং পরবর্তীতে বিগত ০৮/০৪/২০১৪ খ্রিঃ তারিখের রেজিঃ যুক্ত ৬৮৪ নং কবলা মূলে ০.২১৫০ একর জমি নাফিসা সানজিদাকে বিক্রয় করেন। যা সম্পুর্ন বে-আইনী।  

এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য: নূরুল আলম ও নুরুল ইসলাম মেরিন ড্রাইভের অধিগ্রহণকৃত জমি বাদ দিয়ে সমান সমান অংশে (বি.এস ৫২৭ ও ৬১২ দাগ মিলে) প্রত্যেকে ০.২১৫০ একর জমি প্রাপ্ত হলেও নুরুল ইসলাম প্রতারনার মাধ্যমে তার প্রাপ্যতার চেয়ে ০.১৪০০ একর জমি অতিরিক্ত বিক্রি করেন। অথচ নুরুল আলম উল্লেখিত খতিয়ান হতে ০.২১৫০ একর জমি প্রাপ্য হলেও শুধুমাত্র বিএস ৬১২ নং দাগের ্প্রাপ্ত জমি বিক্রি করেন। যা খরিদা মালিকের নামে ৩৩০ নং জমাভাগ খতিয়ান সৃজন করা হয়। 

এক্ষেত্রে নুরুল আলমের প্রাপ্য বি.এস ৫২৭ নং দাগের ০.১৪ একর জমিও নুরুল ইসলাম প্রতারনার মাধ্যমে আম মোক্তারের মাধ্যমে নাফিসা সানজিদাকে বিক্রি করে দেন। 

নামজারী আপীল মামলার আর্জি, তদন্তকারী কর্মকর্তা ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তার দাখিলকৃত প্রতিবেদন ও সরেজমিন পরিদর্শনে জানা গেছে, নুরুল আলম দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার সুযোগে তার ভাই নুরুল ইসলাম জমিজমাগুলো দেখাশুনা করতেন। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পেঁচারদ্বীপ মৌজার বি.এস ৭৮ নং খতিয়ানের  সম্পূর্ণ জমিতে নুরুল ইসলাম তার ভোগ দখল দেখিয়ে প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে বিগত ২৯/১১/১২ খ্রিঃ তারিখের ২৫০৬ নং আমমোক্তার নামার অনূবলে সোলতান আহামদ ভুলু চৌং কে ক্ষমতা প্রদান করেন এবং উক্ত আমমোক্তার গ্রহনকারী ভুলু চৌধুরী একই তারিখের ২৫৩৫ নং রেজি: কবলা মূলে ০.১৪ একর এবং বিগত ০৮/০৪/১৪ খ্রিঃ তারিখের ৬৮৪ নং রেজিঃ কবলা মূলে ০.২১৫০ একর জমি বিক্রি করেন।

তদন্তকারী কর্মকর্তা ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তা সলিম উল্লাহ কর্তৃক দাখিলকৃত প্রতিবেদন অনুযায়ী বি.এস ৭৮ নং খতিয়ানের রেকর্ডীয় মালিক আপত্তিকারী নুরুল আলম তার প্রাপ্ত জমি ০.২১৫০ একর কিন্তু বি.এস ৬১২ নং দাগ হতে পেঁচাবদ্বীপ মৌজায় ৩৩০ নং খতিয়ান সৃজনকারীকে বিক্রি করেন ০.১০০০ একর এবং উক্ত বি.এস ৭৮ নং খতিয়ানে তার আরো প্রাপ্য জমি (০.২১৫০-০.১০)= ০.১১৫০ একর। যেহেতু বি.এস ৭৮ নং খতিয়ানের বি.এস ৫২৭ নং দাগের সম্পূর্ণ জমি তার ভাই নুরুল ইসলাম প্রাপ্যতার চেয়ে অতিরিক্ত জমি বিক্রি করেছেন সেহেতু সর্বশেষ দলিল মূলে বিবাদীনি নাফিসা সানজিদার নামীয় পেচারদ্বীপ মৌজায় সৃজিত ৬৪৪ নং খতিয়ান হতে (আপত্তিকারীর দাবীকৃত ও প্রকৃত হিস্যা মতে প্রাপ্ত) ০.১১৫০ একর জমি মূল বি.এস ৭৮ নং খতিয়ানে ফেরৎ/পূণঃবহাল করার সুপারিশ করলেও রামু উপজেলা ভুমি অফিসের কানুনগো (ভারপ্রাপ্ত) মো: মাহাবুবুর রহমান ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো: সাজ্জাদ জাহিদ রাতুল দালিলিক রেকর্ড পত্র যাচাই-বাছাই না করেই কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট(এডিএম) এর কাছে বিভ্রান্তিমুলক প্রতিবেদন দাখিল করেছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।   

অভিযোগ উঠেছে এসিল্যান্ড রাতুল ও কানুনগো মাহাবুব প্রভাবশালী নাফিসা সানজিদার কাছ থেকে বিপুল পরিমান অনৈতিক লেনদেনের মাধমে মনগড়া ও ভিভ্রান্তমুলক প্রতিবেদন প্রেরন করেছেন। 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে রামু উপজেলা ভুমি অফিসের ভারপ্রপ্রাপ্ত কানুনগো মো: মাহবুবুর রহমান এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি জানান- আমি কোন অনৈতিক লেনদেন করে প্রতিবেদন দিয়ে থাকলে উনারা তা প্রমান করুক। এখানে কোন ভুল হলে বাদী আদালতে আপত্তি দিতে পারেন। তিনি বলেন, কাগজপত্র যাচাই করে আমার যেটা সঠিক মনে হয়ে হয়েছে, সেভাবেই রিপোর্ট দেয়া হয়েছে। কোন কিছু বাদ পড়ে থাকলে সেটা হয়তো মনের ভুলে। 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে রামু উপজেলা ভুমি অফিসের সহকারী কমিশনার(ভুমি) মা: সাজ্জাদ জাহিদ রাতুল এর মুঠোফোনে রবিবার বিকেলে একাধিকবার  যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

অনুসন্ধানে জানা যায়, রামু উপজেলা ভুমি অফিসের ভারপ্রপ্রাপ্ত কানুনগো মো: মাহবুবুর রহমান তার দাখিলকৃত প্রতিবেদনে রেকর্ডিয় মালিক নুরুল আলমের প্রাপ্ত সত্বের বিরুদ্ধে কৌশলে ভুল ব্যাখ্যা করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, বিরোধিয় পক্ষ নাফিসা সানজিদার কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুসের বিনিময়ে নামজারী আপীল মামলার সুষ্ঠ বিচারকার্যকে বিভ্রান্ত করতেই কানুনগো মাহবুবুর রহমান তার প্রতিবেদনে সঠিক তথ্যগুলো গোপন করেছেন এবং ভুল তথ্য সন্নিবেশিত করে বিধি বহির্ভুত মতামত প্রদান করেছেন। শুধু তাই নয়, মাঠ পর্যায়ের ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তার সরেজমিন তদন্তপূর্বক দাখিলকৃত প্রতিবেদনের গুরুত্বপূর্ন তথ্যগুলো গোপন করে প্রতিপক্ষ নুরুল ইসলামের প্রতারনাকে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। 

স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, আপীলকারী নুরুল আলমের দীর্ঘ সময় প্রবাসে থাকার সুযোগে তার অপর ভাই নুরুল ইসলাম প্রতারনার মাধ্যমে একাই পুরো সম্পত্তি নিজের দাবী করে অবৈধ উপয়ে বিক্রি করে দিয়েছেন। অথচ নুরুল ইসলামের প্রতারনার বিষয়গুলো গোপন করে কৌশলে তার বিক্রিত নাফিসা সানজিদার খতিয়ান সেটেল করার অপচেষ্টা করেছেন ভারপ্রাপ্ত কানুনগো। কানুনগো মাহবুবুর রহমান তার প্রতিবেদনে আরও  উল্লেখ করেছেন, “খতিয়ানের অংশ অনুযায়ী বিবাদীর(নাফিসা সানজিদা) প্রাপ্যতা সঠিক আাছে। এবং বাদী পক্ষের দাবী সঠিক নয় মর্মে প্রতীয়মান হয়।” এখানে প্রশ্ন থেকে যায়, যাবতীয় রেকর্ড-পত্র নথিভুক্ত থাকার পরও সরকারের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা কিভাবে প্রতারক গোষ্ঠীর পক্ষে অনেকটা গায়ের জোরে মনগড়া প্রতিবেদন দাখিল করলেন..? ভুক্তভোগী নুরুল আলম ও তার ওয়ারিশগন বলেন, অনৈতিক সুবিধা হালাল করতে একটি স্বাধীন দেশে শোষিত মানুষকে পদদলিত করে শোষকের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন কিছু সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী। তারা এসব দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানান।


Post a Comment

0 Comments