সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের ঝুমকা কাটা এলাকার এক আতঙ্কের নাম সুমী। গত কয়েক বছরে যার প্রতারনায় নি:স্ব হয়েছে অসংখ্য যুবক। শুধু তাই নয় কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এলাকায় এপর্যন্ত বিয়ের নামে স্বামী-স্ত্রীর মতো একসাথে থেকেছে অন্তত অর্ধ ডজন যুবকের সাথে। বিত্তশালী পুরুষদের টার্গেট করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে সর্বস্ব হাতিয়ে নেয়া এই নারীর নেশা ও পেশা। অভিযুক্ত সুমী (৩০) ঈদগড় ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডস্থ ঝুমকাকাটা এলাকার আবুল কালামের মেয়ে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এক স্বামী থাকা অবস্থাতেই তিনি টার্গেট করেন পরবর্তী শিকার। এভাবেই একের পর এক পর পুরুষের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন সুমী। প্রথমে পুরুষদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে তৈরি করেন ঘনিষ্ঠতা, এরপর বিয়ে আর তারপরই শুরু হতো ব্ল্যাকমেইল, ভয়ভীতি ও টাকার জন্য চাপ। এভাবে একের পর এক অপকর্ম করে সুমী ধীরে ধীরে গড়ে তোলেন এক প্রতারণার সাম্রাজ্য।
তার প্রতারক সিন্ডিকেটে রয়েছে অন্তত অর্ধ ডজন পুরুষ সদস্য। সুমীর পাতানো ফাঁদে পা না দিলে তার সিন্ডিকেটের পুরুষ প্রতারকরা বিভিন্ন ফেইক ফেসবুক আইডি দিয়ে টার্গেট করা ব্যক্তির বিরুদ্ধে নানা রকম অশ্লীল ছবি ভিডিও বানিয়ে মানহানীকর পোস্ট প্রচার করে হুমকি ধমকি দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।
দূর্ধর্ষ এই প্রতারক সিন্ডিকেটের খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত হওয়া ঈদগাঁও এলাকার এক যুবক অভিযোগ করে বলেন, কয়েক বছর পূর্বে সূমীর সাথে পরিচয় হয় তার। সুমী নিজেকে অবিবাহিত দাবী করে তার সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এরপর বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিয়ের দিন-ক্ষণ ঠিক করে নগদ আড়াই লাখ টাকা ও দেড় ভরি স্বর্ণালংকার কৌশলে হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে গিয়ে অন্য এক পুরুষকে বিয়ে করেন সুমী।
ভুক্তভোগী যুবক বলেন, এই ভয়াবহ প্রতারনার শিকার হয়ে তিনি অপমানের গ্লানি সইতে না পেরে আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে ধারদেনা করে দেশ ছেড়ে পাড়ি জমান প্রবাসে। এই ঘটনার কয়েক বছর অতিবাহিত হওয়ার পরে তার প্রবাসে থাকার খবর পেয়ে সুমী পুনরায় মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে তার সিন্ডিকেটের পুরুষ প্রতারকদের দিয়ে নানা রকম অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ভুক্তভোগী যুবক আরো বলেন, সম্প্রতি এই প্রতারক সুমীর পক্ষ হয়ে “আবির মুস্তাফিজ আরিয়ান খান” নামের একটি ফেসবুক আইডিসহ আরও কয়েকটি ফেইসবুক পেইজ থেকে তার ও তার পরিবারের সদস্যদের ছবিসহকারে উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে মানহানীকর পোস্ট প্রচার করা হয় এবং তার আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা দাবী করেন “আবির মুস্তাফিজ আরিয়ান খান” নামের ব্যক্তি। টাকা না দিলে ভুক্তভোগী যুবক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বারবার অপপ্রচার চালানো হবে বলেও হুমকি প্রদান করেন।
ভুক্তভোগী যুবক বলেন, প্রতারক সুমী আবারও টাকা হাতিয়ে নিতে ব্যর্থ হওয়ায় তার সিন্ডিকেট দিয়ে হয়রানি করতেই সম্পুর্ণ উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে তার ও তার পরিবারের মানহানী করার অপচেষ্টায় মেতে উঠেছে। তিনি বলেন, বর্তমানে সুমী সিন্ডিকেটের অত্যাচার, হয়রানি, হুমকি-ধমকিতে পরিবার নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। এসব অপপ্রচার বন্ধ করা না হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এব্যপারে কক্সবাজার পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
এদিকে অভিযুক্ত সুমী ও তার সিন্ডিকেট সদস্যদের বিভিন্ন ভাবে খোঁজ নিয়েও না পওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, এই বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
0 Comments