সাইফুদ্দীন মোহাম্মদ মামুন, টেকনাফ: জেলায় চলমান মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে র্যাব-১৫ এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) একটি যৌথ দল টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের সুইচ গেইট এলাকার কেওড়া বাগানের অভ্যন্তরে এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-বিজিবির যৌথ আভিযানিক দল জানতে পারে যে, টেকনাফ মডেল থানাধীন সুইচ গেইট এলাকার কেওড়া বাগানের অভ্যন্তরে সীমান্ত দিয়ে পাচার করে মাদকের একটি চালান গ্রহণের জন্য কিছু ব্যক্তি অবস্থান করছে।
এই তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে র্যাব-১৫, সিপিসি-১, টেকনাফ ক্যাম্প এবং টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) যৌথভাবে ওই এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানের সময় হাতেনাতে ৩,৪০,০০০ পিস ইয়াবা সহ এক মাদক কারবারিকে আটক করা হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবা সহ আটককৃত আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আটককৃত ব্যক্তি হল, মোঃ ওমর সিদ্দিক (২৮), পিতা- মোঃ ওসমান, মাতাঃ রবিদা বেগম, ঠিকানাঃ গ্রাম-খারাংখালী, পোস্ট+থানা-মুংডু, জেলা-মায়ানমার। এই অভিযানটি বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষা ও মাদক চোরাচালান দমনে র্যাব এবং বিজিবির নিরলস প্রচেষ্টার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ৩,৪০,০০০ পিস ইয়াবা সহ একজন মাদক কারবারিকে আটক করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী প্রমাণ করেছে যে, দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে তারা জিরো টলারেন্স নীতিতে অটল রয়েছে।
অপরদিকে র্যাব-১৫ এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) একটি যৌথ দল টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের সাবরাং বিএসপি পোস্ট এলাকার এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-বিজিবির যৌথ আভিযানিক দল জানতে পারে যে, টেকনাফ মডেল থানাধীন সাবরাং বিএসপি পোস্ট এলাকার নাফ নদীর কিনারায় সীমান্ত দিয়ে পাচার করে মাদকের একটি চালান গ্রহণের জন্য কিছু ব্যক্তি অবস্থান করছে।
এই তথ্যের ভিত্তিতে আজ ১৮ সেপ্টেম্বর ১২.৩০ ঘটিকায় র্যাব-১৫, সিপিসি-১, টেকনাফ ক্যাম্প এবং টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) যৌথভাবে ওই এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানের সময় ১০,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এ সময় ০২ জন মাদক পাচারকারী নদী সাঁতরে কেওড়া বাগানের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটের পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
টেকনাফ ব্যাটালিয়ন ২ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আশিকুর রহমান পিএসসি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এদিকে টেকনাফের সচেতন মহল মনে করছে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন ২ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আশিকুর রহমান পিএসসি দায়িত্বে থাকাকালীন অনেক সফল অভিযান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
তাদের মত সকল আইন শৃংখলা বাহীনি যদি একযোগে আরও আন্তরিক হয়ে কাজ করে তাহলে ইয়াবার বিস্তার শূন্যের কোটায় আনা সম্ভব হবে। পাশাপাশি পালাতে বাধ্য হবে ইয়াবা ব্যবসায়ী তথা গডফাদাররা। জানা যায়, সীমান্তের চেয়ে বড় বড় অপরাধ মেরিন ড্রাইভের ওদিকে সংঘটিত হচ্ছে। সুতরাং সীমান্তের মত ওদিকেও নজরদারি রাখা সকল আইন শৃংখলা বাহীনির খুবই জরুরী।
0 Comments