বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ঈদগাঁওর শহীদ দুই নুরুলের ভূমিকা ছিল অপরিসীম

এস.এম.ইমরানুল করিম, ঈদগাঁও: কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের গজালিয়ার গর্ব দুই শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে বিশাল সরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শহীদরা হলেন শহীদ নুরুল আমিন ও শহীদ নুরুল মোস্তফা। ইসলামাবাদ ইউনিয়নের গজালিয়া মিয়াজী বাজার সংলগ্ন স্থানে ২৫ জুলাই বিকেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শহীদ নুরুল আমিন জুলাই স্মৃতি সংঘ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শহীদ নুরুল আমিনের বয়োবৃদ্ধ গর্বিত পিতা  ছৈয়দ নুর। 

অপর শহীদ নুরুল মোস্তফার পিতা শফিউল আলমের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার-রামু- ঈদগাঁও আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শহীদুল আলম বাহাদুর, কক্সবাজার জেলা পুলিশের  অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) পেয়ার আহমদ, ঈদগাঁও উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি নুরুল আজিম, শহীদ নুরুল আমিনের পিতা ছৈয়দ নুর, স্থানীয় মেম্বার জুবায়েদ উল্লাহ জুয়েল, শিক্ষানুরাগী আবু তৈয়ব চৌধুরী, 

৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি মাওলানা দিদারুল ইসলাম, জামায়াত চট্টগ্রাম নগর স্বাস্থ্য বিভাগের টিম সদস্য হাফেজ মহি উদ্দিন, স্থানীয় তালিমুল কোরআন দাখিল মাদ্রাসার সুপার আমির হোছাইন, জামায়াত নেতা মাওলানা সরওয়ার কামাল, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা এড, এস , কে, ফারুকী, রহিম চৌধুরী  প্রমুখ।

উপস্থিত ছিলেন জুলাইয়ের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত বেলাল উদ্দিন ও আব্দুল মান্নান, প্রধান শিক্ষক সমীর পাল, প্রবাসী জসিম উদ্দিন সহ স্থানীয় অনেকে।

স্মরণ সভার আলোচকরা 'ইসলামাবাদ গজালিয়া সড়ক'কে শহীদ নুরুল মোস্তফার নামে এবং নবনির্মিত 'গজালিয়া ব্রীজ'কে শহীদ নুরুল আমিনের নামে নামকরণের জোর দাবি জানান।

বক্তারা শহীদ দ্বয়ের স্মৃতি সংরক্ষণ সহ তাদের পুরো পরিবারের পুনর্বাসনের দাবি জানিয়ে বলেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে তাদের ত্যাগ জাতি কখনো ভুলবে না। তাদের রক্তের বিনিময়ে এ দেশ ফ্যাসিস্ট মুক্ত হয়েছে।

বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতন হলেও তার দোসররা এখনো বহাল তবিয়তে রয়ে গেছে। অচিরেই তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় ছাত্র-জনতা আবারো রক্ত দেয়ার জন্য মাঠে নামবে।

অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হিজবুল্লাহ জাহান। সঞ্চালনায় ছিলেন স্থানীয় সংবাদ কর্মী আজিজুর রহমান রাজু।