বুধবার (২ জুলাই) চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে দায়ের করা মামলাটি ২০২৫ সালের সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের ২৫ ধারার আওতায় আমলে নিয়ে আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক পিবিআইকে (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) তদন্তের নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ছমি উদ্দিন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, ডিজিটাল অগ্রযাত্রা নামের একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদক মেহেদী হাসান পলাশ, টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের বাসিন্দা সুলতান আহামদ ও ইমান হোসাইন, ডিজিটাল অগ্রযাত্রার কক্সবাজার প্রতিনিধি খাঁন মঈন উদ্দিন ও ফাহিম হাসান সাদিক। অভিযুক্তদের মধ্যে সুলতান আহামদ কক্সবাজার জেলা বিএনপির সদস্য বলে স্থানীয়ভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বাদীর আইনজীবী এডভোকেট ছমি উদ্দিন জানান, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি, সাবেক হুইপ এবং উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরীর কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে আসছিল অভিযুক্তরা। দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে শাহাজাহান চৌধুরীর বিরুদ্ধে “ডিজিটাল অগ্রাযাত্রা” নামের একটি ফেসবুক পেইজে গত ৪ জুন একটি মিথ্যা মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করে। যেখানে বলা হয়েছে, “৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট নেতাদের পুনর্বাসন করে শত কোটি টাকা আয় করেছে শাহজাহান চৌধুরী”। যেখানে সুলতান আহামদ ও ইমান হোসাইন নামের দুইজন লোকের মিথ্যা সাক্ষাতকারের উপর এই সংবাদটি প্রচার করা হয়।
আইনজীবী জানান, যাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করার কথা উক্ত সংবাদে প্রচার হয়েছে, তাদের সাথে বাদির কোন ব্যক্তিগত সম্পর্কে নেই। মুলত বিএনপি এবং বাদীর সম্মানহানি করতেই এমন একটি মিথ্যা সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে পিবিআইকে দায়িত্ব প্রদান করেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বাংলাদেশ সরকারের কোন প্রকার অনুমোদন না থাকলেও “অগ্রযাত্রা” নামের এই পেইজের মালিক কখনো ডিজিটাল অগ্রযাত্রা, কখনো অগ্রযাত্রা ডিজিটাল, কখনো অগ্রযাত্রা ক্রাইম, আবার কখনো অগ্রযাত্রা সাপ্তাহিক নামে দীর্ঘদিন ধরে উক্ত ফেসবুক পেইজে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে সঠিক তথ্য প্রমান ছাড়া মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করার ভয়ভীতি দেখিয়ে সারাদেশে চাঁদাবাজি করে আসছিলো।
জানা গেছে, উক্ত ফেসবুক পেইজে বিভিন্ন মানুষের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের দায়ে গত দেড় মাসে শুধুমাত্র কক্সবাজারে অর্ধ ডজন জিডি দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা।
0 Comments