প্রতিবাদ: গত রোববার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় সেনাবাহিনী ও এপিবিএন পরিচালিত অভিযানে উখিয়াস্থ ক্যাম্প ১১-এর সি/৬ ব্লকের মাঝি কেফায়েত উল্লাহর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নগদ টাকা ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় কিছু দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন পোর্টাল ও ফেসবুক পেইজে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। আমি উক্ত সংবাদের আংশিক অংশে প্রকাশিত বিভ্রান্তিমুলক তথ্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
উক্ত সংবাদে এপিবিএন এর বরাত দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে. “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা(আটককৃতরা) রোহিঙ্গা ডাকাত নবী হোসেন দলের সদস্য বলে স্বীকার করেছেন, এবং উদ্ধারকৃত অস্ত্রটি ক্যাম্প-৮(ইস্ট) এ নবী হোসেনের আস্তানায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল” বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মূলত: রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনাকারী আরাকান আর্মি ও আরসা’র বিকল্প সংগঠন ‘হালিম বাহিনী’র পরিকল্পনায় প্রশাসনের কাছে বিভ্রান্তমুলক তথ্য সরবরাহ করে রোহিঙ্গা নেতা নবী হোসেনের নাম ব্যবহার করা হয়েছে। যা সম্পুর্ন মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত।
এছাড়াও নবী হোসেন দীর্ঘ বছর ধরে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ভিটে-মাটিহীন উদ্বাস্তু রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফিরিয়ে নিতে নানাভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মুলত: নবী হোসেনের রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টা ঠেকাতে আরাকান আর্মি ও আরসা’র নব্য অংগসংগঠন ‘হালিম বাহিনী’র সমন্বয়ে রোহিঙ্গা নেতা নবী হোসেনকে ফাঁসাতে এবং প্রশাসনের কাছে সন্ত্রাসী হিসেবে প্রমান করতে নানা রকম অপচেষ্টা চালাচ্ছে তারা।
অথচ ক্যাম্প-১১ থেকে যে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে সেটি সম্পর্কে নবী হোসেন কিছুই জানেননা কিন্তু সংবাদমাধ্যমগুলোতে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় তার প্রতিপক্ষের দেয়া সাজানো মিথ্যা তথ্যের উপর ভিত্তি করেই তার নাম জুড়ে দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও রোহিঙ্গা নেতা নবী হোসেন কোন সময়-ই ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন না অথচ প্রত্যাবাসন ঠেকাতে বিভিন্ন সময় প্রশাসনের কাছে নবী হোসেনের বিষয়ে উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে বানোয়াট সংবাদ সরবরাহ করেছে এসব সন্ত্রাসী বাহিনীগুলো। সর্বোপরি রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টা ঠেকাতে আরাকান আর্মি পরিকল্পনা করেই তাকে বারবার ফাঁসানোর অপচেষ্টা চালায়ে যাচ্ছে।
প্রতিবাদকারী:
কাদের হোসেন
রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবির, ক্যাম্প-৮(ইস্ট)
উখিয়া, কক্সবাজার।
=============================================
0 Comments