বালুখালীতে ইয়াবাসহ আটকের পর টাকার বিনিময়ে ইয়াবা কারবারিকে ছেড়ে দিলেন এপিবিএন পুলিশের এসআই জাহাঙ্গীর..!

স্টাফ রিপোর্টার: উখিয়ার বালুখালী এলাকা থেকে ৭ হাজার পিস ইয়াবাসহ এক চিহ্নিত মাদক কারবারিকে আটকের ৫ ঘণ্টা পর দুই লাখ টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে উখিয়াস্থ ৮ এপিবিএন পুলিশের এসআই জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে। 

জানা গেছে, শনিবার (২১ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বালুখালী হিন্দুপাড়া রাস্তার মাথা থেকে আব্দুল করিম (৩৮) নামের স্থানীয় মাদক কারবারিকে ৭ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক করে এপিবিএন কার্যালয়ে নিয়ে যান ৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বরত এসআই জাহাঙ্গীর। এ ঘটনার ৫ ঘন্টা পর রাত দেড়টার দিকে উক্ত মাদক কারবারিকে ছেড়ে দেয়া হলে বিষটি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চ্যল্যের সৃষ্টি হয়।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, রাত সাড়ে ৮টায় ইয়াবাসহ মাদক কারবারি আব্দুল করিমকে আটক করে নিয়ে যাচ্ছিলেন এসআই জাহাঙ্গীর ও তার সঙ্গীয় ফোর্স। এসময় স্থানীয় লোকজন সাদা পোশাকে থাকা কর্মকর্তাদের পরিচয় জানতে চাইলে এসআই জাহাঙ্গীর তার পরিচয় দেন এবং জব্দকৃত ইয়াবার ব্যাগ খুলে দেখান। 

স্থানীয়রা আরও বলেন, আটককৃত ইয়াবা কারবারিকে ৯ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পস্থ এপিবিএন অফিসে নিয়ে গেলেও মামলা দিয়ে থানায় সোপর্দ না করে ক্যাম্পের ভিতরে এপিবিএন কার্যালয়ে রেখে  ২ লাখ টাকার বিনিময়ে রাত দেড়টায় ছেড়ে দিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ জব্দকৃত ৭ হাজার পিস ইয়াবা ও আদায়কৃত দুই লাখ টাকা ভাগবাঁটোয়ারা করে নেন উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর। এ ঘটনাটি মুহুর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন এলাকায়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ৮ এপিবিএন পুলিশের এসআই জাহাঙ্গীর বলেন, আটকের ঘটনা সত্য। তবে, মাদকসহ ওই কারবারিকে ধরে পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে সোপর্দ করি। এসময় তিনি তার উর্ধতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলার জন্য প্রতিবেদককে পরামর্শ দেন।  

কিন্তু এর আগে এসআই জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের কাছে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য  সরবরাহ করেন। তাদের কাছে  পুলিশের এই কর্মকর্তা দাবি করেন, নষ্ট ইয়াবা দিয়ে আসামিকে থানায় সোপর্দ করা যায় না তাই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে এ ঘটনায় টাকা লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করেন জাহাঙ্গীর। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত গোলদারের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন, একজন লোককে আটক করে আনা হয়েছিল। পরে তাকে উখিয়া থানায় সোপর্দ করার জন্য নিয়ে গেলে তার কাছে পওয়া ২৭ পিস ইয়াবা সদৃশ ট্যাবলেট যাচাই বাছাই করে দেখা যায়, জব্দকৃত ট্যাবলেটগুলো ইয়াবা নয়। যার ফলে যাচাই বাছাই করে আটককৃত ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। 

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে ৮ এপিবিএন-এর এএসপি জহির উদ্দিন বলেন, আমি কয়েকদিন ধরে অসুস্থ আছি। তবে আমি শুনেছি জব্দকৃত ট্যাবলেট গুলো ইয়াবা নয়। তাই আটককৃত ব্যাক্তিকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।   


Post a Comment

0 Comments