লোকমান ইসলাম রানা: অপহরণকারীদের দেয়া তথ্য মতে, নগদ ৪ লাখ টাকা গহীন পাহাড়ের একটি স্থানে রাখার কিছুক্ষণ পরেই অপহৃত ছেলেকে ফেরত আনতে সক্ষম হয়েছেন বাবা। ছেলে হাতে পাওয়ার পর নিজেই এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফের সেন্টমার্টিন কোনাপাড়ার বাসিন্দা নুর হোসেন।
এর আগে সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফে চিকিৎসক দেখানোর পাশাপাশি মুদির দোকানের মালামাল ক্রয় করতে এসে তার ছেলে মো. হাসিম (২৮) অপহরণের শিকার হয়েছিল। এরপর মুক্তিপণ হিসেবে ১০ লাখ টাকা দাবি করা হলেও অনেক দর কষাকষির পর ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণে বুধবার (২০ আগস্ট) বিকাল ৫ টার দিকে ছেলেকে ছেড়ে দেয়ার তথ্যটি জানান তিনি।
নুর হোসেন বলেন, অপহরণের পর মুক্তিপণের জন্য দফায় দফায় নির্যাতন করা হয়েছে ছেলেকে। তাদের কথা মতে, টাকা না দিলে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকিও দেয়া হয়। বাধ্য হয়ে অপহরণকারীদের দেয়া তথ্য মতে, টেকনাফের জাদিমুরা গহীন পাহাড়ের একটি স্থানে একা গিয়ে টাকাগুলো বিকাল ৪ টার দিকে রেখে আসেন। বিকাল ৫টার দিকে একই পাহাড়ে ছেলেকে খুঁেজে পান। ছেলে অসুস্থ। তাকে হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে।
মো. হাসিম গত ১০ আগস্ট রবিবার সকালে সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। টেকনাফে পৌঁছে কথাবার্তা হয় এবং তার অসুস্থতার কারণে চিকিৎসক দেখাবে এবং দোকানের জন্য মালামাল ক্রয় করবেন।
পরে ১৬ আগস্ট শনিবার কাজ শেষ করে দোকানের জন্য মালামাল ক্রয় করে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওনা করার জন্য টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়া নৌঘাটের সার্ভিস ট্রলারের অফিসে গিয়েছিলেন। এরপর থেকে ছেলের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। গত ১৬ আগস্ট শনিবার ইমো নম্বরে অপরিচিত এক ব্যক্তি ফোন করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের ফোনে কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের তথ্য বলছে, এ নিয়ে গত সাড়ে ১৮ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৫৬ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে
0 Comments