ঈদগড়-বাইশারী সড়কের চিহ্নিত ছিনতাইকারী নেজাম উদ্দিন এখনও অধরা..!

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: ডাকাতি, ছিনতাই ও অপহরনের অভয়ারণ্য ও আতঙ্কের জনপদ ঈদগড়-বাইশারী সড়কে দিন দিন বেড়েই চলেছে অপরাধমুলক কর্মকান্ড। প্রকাশ্যে, দিনে-দুপুরে বা রাতে এসব অপকর্ম দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় এলাকার লোকজন স্বাভাবিক চলাচলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় স্থানীয় সন্ত্রাসীদের একটি চক্র এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। 

খোঁজ নিয়ে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, কক্সবাজারের ঈদগাঁও-ঈদগড় ও ঈদগড়-বাইশারী সড়কে যুগ যুগ ধরে ডাকাতি, অপহরণ ও ছিনতাইয়ের মত ঘটনা ঘটেই চলেছে। গত কয়েক বছরে উক্ত সড়ক দুটিতে শতাধিক অপহরণ, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। 

এলাকাবাসীরা জানান,  এলাকার কিছু দুর্বৃত্ত মুখোশের আঁড়ালে মানুষের চোখ ফাঁকি দিয়ে সন্ধ্যা নামলেই দল বেঁধে এসব কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ডাকাতি, অপহরন ও ছিনতাই কারী চক্রের অন্যতম সদস্য নেজাম উদ্দিন। এলাকার ভুক্তভোগীরা জানান, তার অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকার মানুষ। তার ভয়ে ঈদগড়-বাইশারী সড়কে যাতায়াতের সাহস পায়না কেউ। একা একা রাস্তায় বের হলেই অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মোবাইল ফোন, টাকা পয়সা ছিনতাই করে নিয়ে যায় এই নেজাম ও তার গ্রুপের সদস্যরা। শুধু তাই নয়, তাদের অপকর্ম নিয়ে পুলিশের কাছে মুখ খুললে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তারা। যার কারনে প্রাণের ভয়ে কোন ভুক্তভোগী প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করার সাহস পায়না। 

দুর্ধর্ষ ছিনতাইকারী নেজাম উদ্দিন (৩০) বাইশারী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জসিম উদ্দিনের পুত্র। 

নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী জানান, গত দুই বছর পূর্বে ঈদগাঁও থেকে সিএনজি যোগে তিনি ঈদগড় যাচ্ছিলেন। এসময় নেজাম উদ্দিন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা অস্ত্রের মুখে সিএনজি অটোরিক্সার গতি রোধ করে তার কাছ থেকে নগদ ১৬ হাজার টাকা ও একটি স্মার্ট এনড্রয়েট ফোন ছিনিয়ে নেয়। বিষয়টি প্রশাসনকে জানালে জানে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় তারা। 

ভুক্তভোগী আরও জানান, ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন ও সীমটিতে সিকিউরিটি সিস্টেম সেটআপ করা ছিল। যার ফলে ছিনতাইকারী নেজাম মাঝে মাঝে উক্ত মোবাইল ফোন অন করে ব্যবহার করতো। আর এই ফোন ও সীম ব্যবহার করে বিভিন্ন জনের সাথে যেসব যোগাযোগ করতো সবকিছুর নোটিফিকেশন পেতেন তিনি (ভুক্তভোগী)। মূলত: এরই সূত্র ধরে তিনি নিশ্চিত হন ছিনতাইয়ের পর থেকেই উক্ত মোবাইল ফোন ও সীম ছিনতাইকারী নেজামের কাছেই রয়েছে। 

ভুক্তভোগী বলেন, এই ঘটনায় ঈদগাঁও থানায় সাধারন ডাইরী করা হয়েছে। 

ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মছিউর রহমান বলেন, এই বিষয়ে একটি ডায়রী দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত পূর্বক অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। 


Post a Comment

0 Comments