প্রেস বিজ্ঞপ্তি: ‘কক্সবাজারে মানব পাচার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে, যা স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী উভয়ের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় কক্সবাজারে বেশ কিছু নতুন নতুন পাচারের রুটও তৈরি হয়েছে তবে প্রশাসন বিশেষ করে রামুতে আমরা সজাগ আছি। তবে মানব পাচার রোধ করতে সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে। সবাই মিলে কাজ করলেই মানব পাচার প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।’ -এমন মন্তব্য করেছেন কক্সবাজারের রামু উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ রাশেদুল ইসলাম।
সোমবার (২৩ জুন ২০২৫) কক্সবাজারের রামু উপজেলায় ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের ৪ পিএসকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে মানব পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত মানব পাচার ও অনিয়মিত অভিবাসন প্রতিরোধে উপজেলা পর্যায়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি মানব পাচারের শিকার ব্যক্তি ও অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার ও পুনরেকত্রীকরণে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের নানা উদ্যোগ ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের প্রশংসা করেন।
‘শপথ নেবো পাচার রোধে, বিদেশ যাবো বৈধ পথে’ এ শ্লোগানে উপজেলা পর্যায়ে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, রামু উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানজিলা রহমান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা উম্মে সুরাইয়া আমিন, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ, উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু নছর মোহাম্মদ হাচ্ছান, রামু প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোয়েব সাঈদ, রামু থানার উপ-পরিদর্শক চিরঞ্জীব, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মো. আদিল, ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের সেক্টর স্পেশালিস্ট-ইকোনোমিক রিইন্টিগ্রেশন মং খি ওয়াং, কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্য নুর নাহার বেগম প্রমুখ।
কর্মশালায় সভাপতি হিসেবে স্বাগত বক্তব্য দেন- ব্র্যাকের কক্সবাজারের জেলা সমন্বয়ক অজিত নন্দী। মানব পাচারের শিকার সার্ভাইভারদের পাশে দাঁড়াতে ও নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ে জন-সচেতনতা গড়ে তুলতে আয়োজিত এই মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের কক্সবাজার মাইগ্রেশন এন্ড রিইন্টিগ্রেশন সাপোর্ট সেন্টারের কো-অর্ডিনেটর মোঃ আজিমুল হক। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলার মানবপাচার ও অভিবাসন বিষয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা, বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, ধর্মীয় নেতা, সাংবাদিক, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ।
স্বাগত বক্তব্যে ব্র্যাকের কক্সবাজারের জেলা সমন্বয়ক অজিত নন্দী আরও বলেন- বিশ্বের সর্ববৃহৎ উন্নয়ন সংস্থা এবং সারা বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় এনজিও- ব্র্যাক, ১৯৭২ সালের প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে দেশে ও দেশের বাইরে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। ব্র্যাকের বিভিন্ন কর্মসূচিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম।
ব্র্যাকের এই প্রোগ্রাম ২০০৬ সাল থেকে দেশের অভিবাসন ও মানবপাচারপ্রবণ জেলাসমূহে বিদেশগামী নারী ও পুরুষের মাঝে সঠিক তথ্যের মাধ্যমে নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম, মানব পাচার প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম, বিদেশ-ফেরতদের বিমানবন্দরে সহায়তা, পুনরেকত্রীকরণ, অভিবাসন খাতে এডভোকেসি ও নানাবিধ সহযোগিতামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে।
0 Comments