জুলফিকার আলী ভুট্টো, চকরিয়াঃ সংরক্ষিত বনের চারা গাছ কেটে ঘর বানাচ্ছে খোদ বন কর্মকর্তা ! কক্সবাজারের ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে উন্নয়ন কাজের মালামাল রাখার জন্য অস্থায়ী গুদাম ঘর তৈরীতে ব্যবহৃত খুঁটিসহ চালা নির্মাণের কাঠগুলো সাফারি পার্কের চারা গাছ কেটে সংগ্রহ করা হয়েছে। যা বন আইনে মারাত্মক অপরাধ।
অথচ গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সুরক্ষিত সাফারি পার্কে বন কর্মকর্তা কর্মচারীর নাকের ডগায় এই গর্হিত কাজ সম্পাদনের দৃশ্য সাংবাদিকদের চোখে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সাফারি পার্কের বন্যপ্রাণী হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় নতুন একটি ভবন নির্মাণের জন্য জায়গা পরিষ্কার করা হচ্ছিল। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, 'আহত বন্যপ্রাণীদের আটক এবং উদ্ধারের জন্য কিপার গ্যালারী এবং ঘের নির্মাণের জন্য ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা প্রকল্প ব্যয় নির্ধারণ করে পার্ক কর্তৃপক্ষ ঠিকাদার নিয়োগ করে।
গত ২৬ জুন ওই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ঠিকাদার মালামাল রাখার জন্য এ ঘরটি নির্মাণ করছেন। নির্মাণের প্রাক্কালে দেখা যায়, পার্কের মূল্যবান গর্জন প্রজাতির চারা গাছ কেটে ঘরের খুঁটি ও চালায় টিন লাগানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স করিম এন্ড ব্রাদার্স এর জনৈক প্রতিনিধি (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, জুন ফাইনালের আগে আজকেই (২৬ জুন) কাজ শুরুর তোড়জোর শুরু করে দিয়েছি। সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনজুর আলমের অনুমতি সাপেক্ষে এই গাছ গুলো দিয়ে অস্থায়ী সেড নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেঞ্জার মনজুর আলম মূল্যবান গর্জনসহ বিভিন্ন প্রজাতির চারা গাছ কেটে ঠিকাদার শেড ব্যবহার করার কথা স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, পার্কের উন্নয়ন কাজের জন্য গাছ কাটতে হয়। তাঁর মতে, এটা অপরাধ নয়।
0 Comments