আব্দুল বাসেত ॥ কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে দাবীকৃত চাঁদা না দেওয়ায় জুবাইর নামে এক ব্যবসায়ীর উপর স্বশস্ত্র হামলা চালিয়েছে জাহাঙ্গীর বাঙ্গালীর নেতৃত্বে এক দল সন্ত্রাসী। এতে নারীসহ ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত জুবাইর বাদী হয়ে ঈদগাঁও থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে কক্সবাজারের একটি সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী জুবাইর।
অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর বাঙ্গালী ঈদগাঁও ইউনিয়নের পশ্চিম ভাদিতলা গ্রামের আলী হোসেন মাস্টারের পুত্র।
দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে ও সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী জুবাইর সাংবাদিকদের জানান, দীর্ঘদিন ধরে ভয়ভীতি দেখিয়ে নানা অজুহাতে বিভিন্ন সময় মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে আসছিল এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর বাঙ্গালী(৪০)। কোন উপায়ান্তর না পেয়ে বাধ্য হয়ে দাবী অনুযায়ী চাঁদা দিয়ে আসছিলেন ব্যবসায়ী জুবাইর। তারই ধারাবাহিকতায় সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর বাঙ্গালী গত কিছু দিন আগে জুবাইর এর কাছ থেকে পুনরায় ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। দাবীকৃত চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় গত ১৮ মে রবিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১০ টার দিকে সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর বাঙ্গালী ও তার সশস্ত্র বাহিনী ঈদগাঁও মাছ বাজার হতে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে ঈদগাঁও প্রি-ক্যাডেট স্কুল এন্ড কলেজের ভিতরে আটকে রেখে চাঁদা আদায়ের উদ্দেশ্যে অমানুষিক নির্যাতন চালায়।
এ খবর পেয়ে তার স্ত্রী মর্জিনা আক্তারসহ স্বজনরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে জাহাঙ্গীর বাঙ্গালী ও তার সশস্ত্র বাহিনী তাদের উপরও এলোপাথাড়ি হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে জুবাইর ও তাকে উদ্ধার করতে আসা মর্জিনা আক্তার (২৫), সামিয়া আক্তার (১৩), আলী জোহার (৩৫), জুবাইদা আক্তার (২৪), শাহেনা আক্তার (৩০)। এসময় প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা আহত জুবাইরের পকেটে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকা ও আহত নারীদের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার লুট করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে প্রতিবেশীরা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরন করেন।
ভুক্তভোগী জুবাইর জানান, হামলার ঘটনায় সস্ত্রাসী জাহাঙ্গীর বাঙ্গালী ও তার প্রধান সহযোগি নুরুল হকসহ তার বাহিনীর সদস্যদের বিরৃদ্ধে ঈদগাঁও থানায় এজাহার জমা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে থানা থেকে এজাহার তুলে নিতে নানা ভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে অভিযুক্ত সন্ত্রাসীরা। তিনি আরও বলেন, মামলা করলে পরিবারের সবাইকে তুলে নিয়ে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন জাহাঙ্গীর বাঙ্গালী। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন ব্যবসায়ী জুবাইর। ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় কক্সবাজারের পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।
ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মছিউর রহমান জানান, এজাহার পেয়েছি। তবে দুই পক্ষ থেকেই সামাজিকভাবে ধাপোস-মিমাংসার জন্য সময় চেয়েছে। মিমাংসা না হলে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
0 Comments