সুমন চন্দ্র দে, মহেশখালী : মহেশখালী-কক্সবাজার ফেরিঘাটে ও নৌপথে সিট্রাক চলাচলে আবারও দেখা দিয়েছে বেপরোয়া অনিয়ম। নির্ধারিত সীমার বাইরে অতিরিক্ত যাত্রী, নেই টিকিটে স্বচ্ছতা—দ্রুত ব্যবস্থা চায় যাত্রীরা
১৪ জুন (শনিবার) সকাল ১১টার নির্ধারিত ট্রিপে অতি বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সিট্রাকে যাত্রীরা খুবই ভীতিকর পরিস্থিতিতে গন্তব্যে পৌঁছেছেন বলে জানান স্থানীয় যাত্রীরা।
সময়সূচি উপেক্ষা করে ট্রিপটি নির্ধারিত সময়ের আগেই ছেড়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। ধারণা করা হচ্ছে, ওই সিট্রাকে প্রায় ৪ শতাধিকের অধিক যাত্রী তোলা হয়েছিল, যেখানে অনুমোদিত যাত্রীসংখ্যা সর্বোচ্চ ২৫০ জন।
এছাড়াও বিকাল ৫টায় নির্ধারিত ট্রিপেও অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মহেশখালী গোরকঘাটা জেটি ঘাটে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহেশখালী থেকে কক্সবাজারে বিকাল ৫টায় নির্ধারিত ট্রিপেও সিট্রাকে অতিরিক্ত যাত্রী পরিলক্ষিত হয়েছে। সিট্রাকের উপরে নীচে এবং চারিদিকে যাত্রী আর যাত্রী। সিট্রাকের ভিতরে পা ফেলার জন্য কোন জায়গা বাকী নেই। গরমে অতিষ্ঠ শিশুরা কান্না আর কান্না।
স্থানীয় যাত্রীদের অভিযোগ, ফেরিঘাটে টিকিট বিক্রিতে নেই কোনো স্বচ্ছতা কিংবা নির্ধারিত নীতিমালা। ফলে একদিকে যেমন অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই হচ্ছে, অন্যদিকে যাত্রীরা ঠকছেন সেবা থেকে। অনেকে দাবি করছেন, যাত্রী তোলার ক্ষেত্রে নিয়মের তোয়াক্কা না করেই গন্তব্যে যাত্রা করছে এসব সিট্রাক, যা বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে।
স্থানীয় এক যাত্রী জানান, আমাদের মহেশখালী জনগণের প্রাণের দাবী ছিলো মহেশখালী - কক্সবাজার নিরাপদে নৌপথ পারাপার। বর্তমানে সিট্রাক আসায় নৌপথে নিরাপদ মনে হলেও অতিরিক্ত যাত্রী ও নিয়মনীতি না মানায় নিরাপদ মনে করছি না! এইভাবে চলতে থাকলে যাত্রী'র নিরাপত্তা অনিশ্চিত ও ভোগান্তি পোহাতে হবে।
দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ ও নিয়মিত নজরদারির দাবি জানিয়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। তারা বলেন, "এইভাবে চলতে থাকলে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা নিরাপদ যাত্রা চাই।"
0 Comments