লোকমান ইসলাম রানা: দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর কক্সবাজারে ট্যুরিস্ট পুলিশের কনস্টেবল মো. পারভেজ হত্যা মামলার ২নং আসামী আবদুল মালেককে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫। গোপন সংবাদ ভিওিতে রবিবার মধ্যরাতে(১৪ জুলাই/সোমবার) চট্টগ্রাম পাহাড়তলী এলাকায় র্যাব -৭ এর সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা যায় ২০১৫ সালের ২৩ জুলাই কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের কনস্টেবল পারভেজ হত্যা মামলার ১০ বছরের সাজা পরোয়ানাভুক্ত আসামী আবদুল মালেক দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলো।
উক্ত মামলার বিচার শেষে একজনের মৃত্যুদন্ড ও গ্রেফতারকৃত মালেকসহ দুইজনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন বিজ্ঞ আদালত। একই সাথে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মামলায় অপর চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণীত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেন।
সুত্র জানায়, ২০১৯সালের (৪ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত-১ম এর বিচারক মহিউদ্দিন মুরাদ এই রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তসহ তিন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এদিকে ১নং আসামী মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত আবু তাহের (৩২) কক্সবাজার শহরের ঘোনারপাড়া আবুল কালামের ছেলে।২নং সাজাপ্রাপ্ত, হলেন বাদশাহঘোনা নতুনপাড়া এলাকার বাসিন্দা শাহ আলমের ছেলে আব্দুল মালেক ও ৩নং ঘোনারপাড়া বড় কবরস্থান এলাকার শাহ আলম সওদাগরের ছেলে মো. খালেদ খোকন।
এর মধ্যে মামলার শুরু থেকে পালাতক ছিলেন ৩নং সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. খালেদ খোকন। তখনকার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মোজাফফর আহমদ হেলালী এ তথ্য নিশ্চিত করেছিলেন। তিনি বলেন, আসামি আবু তাহেরের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণীত হওয়ায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় ফাঁসি এবং ৩৯৫ ধারায় ১০ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়। অপর দুই আসামিকে দন্ডবিধির ৩৯৫ ধারায় ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয় বিজ্ঞ আদালত।
সাক্ষ্য প্রমাণে অপর চারজনের বিরুদ্ধ অভিযোগ প্রমাণীত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে ২৩ জুলাই কক্সবাজার শহরের জাম্বুর মোড় এলাকায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ট্যুরিস্ট পুলিশের কনস্টেবল মো. পারভেজ।
এ ঘটনায় ট্যুরিস্ট পুলিশের আরেক কনস্টেবল রাজিব চাকমা বাদী হয়ে একইদিন আবু তাহের সহ ৭ জনকে আসামি করে কক্সবাজার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। যার নং- ৪৬ (জিআর ৬৮২/২০১৫)।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মডেল থানার তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী একই বছর ২৪ নভেম্বর অভিযুক্ত ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট দেন। ২০১৯ সালের ১ অক্টোবর চার্জ গঠন করে বাদী, চিকিৎসক, তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে এ রায় ঘোষণা করেন।
0 Comments